পবিত্র আশুরার নিরাপত্তাব্যবস্থায় যুক্ত হচ্ছে সাইবার প্যাট্রলিং
আগামীকাল বুধবার পবিত্র আশুরা উপলক্ষে কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে দেশব্যাপী বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি। এবার এই নিরাপত্তাব্যবস্থায় যুক্ত হয়েছে সাইবার প্যাট্রলিং।
বিশেষ করে এর আগে এই ধর্মীয় উৎসব ঘিরে জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে। এর পর থেকে এই দিবস ঘিরে হামলার আশঙ্কা করে বাহিনীগুলো।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশের ভাষ্য, কয়েকটি কারণে সামনে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে। তবে সব ধরনের পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রস্তুতি নিয়েছে পুলিশ ও র্যাব। গতকাল সন্ধ্যায় বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে।
রাতেও বিভিন্ন ছাত্রাবাসে তল্লাশি অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ। ঢাকা মহানগর পুলিশের আটটি ক্রাইম বিভাগের প্রতিটি থানা এলাকায় বাড়তি নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার (ডিএমপি) হাবিবুর রহমান বলেন, আশুরা উপলক্ষে ডিএমপির পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। গতকাল সকালে পুরান ঢাকার হোসেনি দালান ইমামবাড়ায় শিয়া সম্প্রদায়ের নেতাদের উপস্থিতিতে নিরাপত্তাব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে এ কথা বলেন তিনি।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, আগামীকাল বুধবার পবিত্র আশুরা। সারা বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায় ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করে থাকে। ঢাকায় যেসব ইমামবাড়া রয়েছে, এরই মধ্যে সেসব জায়গায় ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে যাঁরা আসবেন প্রত্যেককে চেকিংয়ের মাধ্যমে প্রবেশ করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, হোসেনি দালানের আশপাশের উঁচু ভবনের ছাদে সাদা পোশাকে ও ইউনিফর্মধারী পুলিশ থেকে অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। তাজিয়া মিছিলের সামনে, পেছনে পুলিশি নিরাপত্তা থাকবে। সমগ্র অনুষ্ঠানস্থল সিসিটিভির আওতায় রাখার পাশাপাশি সাইবার প্যাট্রলিংয়ের মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
তাজিয়া মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের ছুরি, চাকু বা কোনো ধরনের দাহ্য পদার্থ না নিয়ে আসার অনুরোধ জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, বৈদ্যুতিক তারের সঙ্গে দুর্ঘটনা এড়াতে পতাকার স্ট্যান্ড যেন বেশি লম্বা না হয়, সেটাও খেয়াল রাখতে হবে। আশা করি, সবার সমন্বিত প্রচেষ্টায় সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ পরিবেশে মহররমের সব অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে।
সাইবার প্যাট্রলিং কি?
প্রযুক্তিবিদরা বলেন, সাধারণত সাইবার মনিটরিং বা অনলাইন জগতের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করা বোঝানোর জন্য ‘সাইবার প্যাট্রলিং’ শব্দদ্বয় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। সোজা কথায় বিশেষ কোনো ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহার করে অনলাইনের বিশাল জগৎ থেকে কোনো তথ্য বা বিষয় অনুসন্ধান, তথ্য সংগ্রহ ও পর্যবেক্ষণে রাখাকে বোঝানোকে সাইবার প্যাট্রলিং বলা হয়ে থাকে। সাধারণত কোনো রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা সংশ্লিষ্ট কোনো সংস্থা অপরাধে জড়িত কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর উদ্দেশ্য, পরিকল্পনা, কার্যক্রম মনিটরিংয়ে রেখে করণীয় ঠিক করতে সাইবার মনিটরিং করে থাকে।