সাইবার নিরাপত্তা ও মহাকাশ প্রযুক্তিতে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে ফ্রান্স: পলক
সাইবার নিরাপত্তা, স্টার্টআপ এক্সচেঞ্জ, মহাকাশ প্রযুক্তি, মানবসম্পদ উন্নয়ন, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং জ্ঞান স্থানান্তরের ক্ষেত্রেও ফ্রান্স বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
৬ জুলাই সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মেরি মাসদুপুইয়ের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক বৈঠক শেষে এ কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, ফ্রান্স স্যাটেলাইট প্রযুক্তিতে তার দক্ষতার জন্য বিশ্বব্যাপী পরিচিত। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন বেতবুনিয়ায় বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইট গ্রাউন্ড স্টেশন স্থাপনের পর ২০১৮ সালের ১২ মে, প্রথম যোগাযোগ স্যাটেলাইট, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর সফল উৎক্ষেপণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে ফ্রান্স।
বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু হিসেবে উলেস্নখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিএল) এয়ারবাসের সাথে ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২’, অপটিক্যাল স্যাটেলাইট, এসএআর স্যাটেলাইট এবং বাংলাদেশে মহাকাশ প্রযুক্তির আরও উন্নয়নের জন্য কাজ করছে।
প্রতিমন্ত্রী সম্প্রতি ফ্রান্সের এয়ারবাস, প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান স্কুল ফরটি টু, ফ্রান্সের ট্রেড মিনিস্টার এবং দেশটির বিভিন্ন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, ভবিষ্যৎমুখী তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ জনশক্তি গড়তে ফ্রান্সের সঙ্গে গভীরভাবে কাজ করতে আগ্রহী বাংলাদেশ। এ জন্য বাংলাদেশ থেকে একটি প্রতিনিধিদল ফ্রান্স সফর করেছে। ফ্রান্সের সঙ্গে আমরা নতুন একটি ক্ষেত্র তৈরি করতে যাচ্ছি। ‘শিক্ষা, প্রযুক্তি, প্রশিক্ষণ-এ তিনটি বিষয় হচ্ছে আমাদের ফ্রান্স ভিজিটের মূল উদ্দেশ্য। ফ্রান্সের ট্রেড মিনিস্টারের সাথেও ফলপ্রসূ বৈঠক হয়েছে। একই সময়ে ফ্রান্স বা ইউরোপের অন্যতম একটি বড় প্রযুক্তি উৎসব ডিভাটেকে প্রথমবারের মতো অংশগ্রহণ করেছে বাংলাদেশ।’
সফর কালে ফ্রান্সের এয়ার বাসের স্যাটেলাইট তৈরির ল্যাব পরিদর্শনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে স্মার্ট নাগরিক হিসেবে দক্ষ ও যোগ্য করে গড়ে তোলার জন্য ফ্রান্সের অত্যন্ত সফল একটি উদ্যোগ রয়েছে। সেটি হচ্ছে স্কুল ফরটি-টু। সেটার সঙ্গে আমাদের একটি সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। আমরা তাদেরকে বাংলাদেশে আনতে চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘স্যাটেলাইট কোম্পানি এয়ার বাসের পক্ষ থেকে আমাদের দক্ষতা, যোগ্যতা ও সক্ষমতা তৈরি করার জন্য কিছু প্রস্তাব দিয়েছে। আমরা সেটাও বিবেচনায় নিচ্ছি। বাংলাদেশে আমরা যাতে যৌথভাবে স্যাটেলাইট অ্যাসেম্বল করতে পারি, স্যাটেলাইট প্রযুক্তিতে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে পারি, এটিও একটি উদ্দেশ্য।’ ‘আমাদের শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার, ইউনিভার্সিটি বিজনেস ইনকিউবেশন সেন্টারে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, মেশিন লার্নিং, ডাটা এনালিটিক্স, রোবটিক্স, মাইক্রোচিপ ডিজাইনিং, সাইবার সিকিউরিটির মতো ভবিষ্যৎমুখী প্রযুক্তিতে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার জন্য তাদের (ফ্রান্স) সঙ্গে আনুষ্ঠানিক একটা চুক্তিতে যাওয়ার জন্য আমরা কাজ করছি।’