Skip to content
সাইবার রিস্ক ম্যানেজমেন্ট হলো সাইবার হুমকি থেকে ডেটা, অ্যাপ্লিকেশন, এবং সিস্টেমগুলিকে রক্ষা করার জন্য একটি পদ্ধতিগত পদ্ধতি।
ঝুঁকি থেকে মুক্তি পেতে আমাদের যেই পদক্ষেপ নেয়া জরুরিঃ
1. ঝুঁকি চিহ্নিতকরণ:
- সম্ভাব্য সাইবার হুমকি এবং দুর্বলতাগুলি চিহ্নিত করুন।
- সম্পদের মূল্য এবং গুরুত্ব নির্ধারণ করুন।
- সম্ভাব্য ক্ষতির পরিমাণ মূল্যায়ন করুন।
2. ঝুঁকি বিশ্লেষণ:
- প্রতিটি ঝুঁকির সম্ভাবনা এবং প্রভাব বিশ্লেষণ করুন।
- ঝুঁকির গুরুত্ব নির্ধারণ করুন।
3. ঝুঁকি প্রশমন:
- ঝুঁকি কমাতে পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।
- প্রযুক্তিগত, প্রক্রিয়াগত এবং প্রশিক্ষণগত নিয়ন্ত্রণ ব্যবহার করুন।
- বীমা কভারেজ বিবেচনা করুন।
4. ঝুঁকি পর্যবেক্ষণ:
- নিয়মিতভাবে ঝুঁকি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করুন।
- নতুন হুমকি এবং দুর্বলতা সম্পর্কে আপডেট থাকুন।
- ঝুঁকি ম্যানেজমেন্ট পরিকল্পনা আপডেট করুন।
সাইবার রিস্ক ম্যানেজমেন্টের জন্য কিছু টিপস:
- সকল স্তরের কর্মীদের সাইবার সুরক্ষা সম্পর্কে সচেতন করুন।
- একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড নীতি প্রয়োগ করুন।
- ডেটা এবং সিস্টেমগুলি নিয়মিত ব্যাকআপ করুন।
- সফ্টওয়্যার এবং অ্যাপ্লিকেশনগুলি আপডেট রাখুন।
- একটি ঘটনা প্রতিক্রিয়া পরিকল্পনা তৈরি করুন।
সাইবার রিস্ক ম্যানেজমেন্ট একটি চলমান প্রক্রিয়া। নিয়মিতভাবে ঝুঁকি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা এবং প্রয়োজনে ঝুঁকি ম্যানেজমেন্ট পরিকল্পনা আপডেট করা গুরুত্বপূর্ণ। বাইট কেয়ার লিমিটেড দিচ্ছে Cyber Risk Management and Awareness-এর উপর ট্রেনিং প্রোগ্রাম।
কিছু দরকারী রিসোর্স:
উক্ত আলোচনা থেকে আমরা সাইবার রিস্ক ম্যানেজমেন্টের মূলনীতিগুলি জানলাম। এবার ব্যক্তিগত, পেশাগত এবং জাতীয় পর্যায়ে সাইবার রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কীভাবে করা যায় সে সম্পর্কে আরও কিছু বিষয় দেখা যাক।
ব্যক্তিগত পর্যায়ে সাইবার রিস্ক ম্যানেজমেন্ট:
- শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন: প্রতিটি অ্যাকাউন্টের জন্য আলাদা এবং জটিল পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন। পাসওয়ার্ড ম্যানেজার ব্যবহারের বিষয়টি বিবেচনা করুন।
- ফিশিং থেকে সাবধান: অপরিচিত লিঙ্কে ক্লিক করবেন না বা সন্দেহজনক ইমেলের আসল বলে মনে হওয়া কোনো কিছু ডাউনলোড করবেন না।
- সোশ্যাল মিডিয়া গোপনীয়তা সেটিংস ব্যবহার করুন: আপনার ব্যক্তিগত তথ্য কে দেখতে পারে সে সম্পর্কে নিয়ন্ত্রণ রাখুন।
- লেটেস্ট সফটওয়ার এবং অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করুন এবং নিয়মিত আপডেট করুন।
- অ্যান্টিভাইরাস এবং অ্যান্টি-ম্যালওয়্যার সফটওয়ার ব্যবহার করুন।
- পাবলিক Wi-Fi ব্যবহারে সাবধান : গুরুত্বপূর্ণ কাজ বা লেনদেনের জন্য পাবলিক Wi-Fi ব্যবহার করা এড়িয়ে চলুন।
- ডেটা ব্যাকআপ নিন: আপনার গুরুত্বপূর্ণ ফাইলগুলির নিয়মিত ব্যাকআপ নিন।
পেশাগত পর্যায়ে সাইবার রিস্ক ম্যানেজমেন্ট:
- কর্মীদের সাইবার সুরক্ষা প্রশিক্ষণ দিন: সাইবার হুমকি এবং ঝুঁকি সম্পর্কে কর্মীদের সচেতন করুন।
- কঠোর পাসওয়ার্ড নীতি প্রয়োগ করুন।
- সংস্থাগুলিকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এনক্রিপ্ট করতে উত্সাহিত করা করুন।
- ডেটা লিক প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিন।
- ঘটনা প্রতিক্রিয়া পরিকল্পনা তৈরি করুন: সাইবার হামলার ক্ষেত্রে কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে হবে তা পরিকল্পনা করুন।
জাতীয় পর্যায়ে সাইবার রিস্ক ম্যানেজমেন্ট:
- সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন ও কার্যকরকরণ।
- জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা কাঠামো গড়া।
- আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি।
- সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের দক্ষতা বৃদ্ধি।
- সাধারণ মানুষের সাইবার সচেতনতা বৃদ্ধি করার জন্য জনসাধারণের প্রচারণা চালানো।
এগুলি হলো সাইবার রিস্ক ম্যানেজমেন্টের কয়েকটি সাধারণ পদ্ধতি। নিজের পরিস্থিতি অনুযায়ী কৌশলগুলি করা যেতে পারে।
Please follow and like us: